• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রসঙ্গে রিজভী

‘রায় কী হয়, তারপরই আমাদের বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ অক্টোবর ২০১৮, ২২:৩৫
রিজভী আহমেদ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ (ফাইল ছবি)

আগামীকাল (বুধবার) রায় কী হয়, তারপরই আমরা আমাদের বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত জানাব বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তবে আমরা যেটাই করি, সেটা শান্তিপূর্ণই হবে। আমরা এমন কোনো ধরনের কাজ করব না, যেটাতে জনগণ কষ্ট পায়।’

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামীকাল বুধবার ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন রিজভী।

রায় ঘোষণার প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে অঙ্গীকারাবদ্ধ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। বিএনপি বরাবরই জনগণের শক্তিকে অবলম্বন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে। সরকারের কোনো উসকানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সরকারের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অতীতের মতো বর্তমান অবৈধ সরকার নানাভাবে নিজেরাই নাশকতা সৃষ্টি করে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মতো পরিকল্পনা করছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর এর দায় চাপাতে পারে। এ জন্য আমি নেতাকর্মীদের সতর্ক থেকে দলীয় কর্মসূচি সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নিয়ে প্রহসনের মঞ্চে পর্দা ওঠার পর কী দৃশ্যমান হবে তা নিয়ে চারদিকে সংশয় দেখা দিয়েছে জানিয়ে বিএনপি এ নেতা বলেন, ‘সরকারের ফরমায়েশি রায় বাস্তবায়নের জন্যই নানা কিছু করা হচ্ছে। যেমন- প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের জোরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল আমরা দেখলাম-সর্বোচ্চ আদালতে ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত একজন মন্ত্রীকে হাইকোর্ট খালাস দিয়েছেন। এই খালাস কার নির্দেশে হয়েছে, সেটির জন্য বেশি লেখাপড়ার প্রয়োজন পড়ে না। জনগণও তা বুঝে নিয়েছে। আগামীকাল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ও সরকারের ইচ্ছার বাইরে হতে পারবে কি না তা নিয়েও জনগণের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের ওপর প্রতিনিয়ত চাপের কারণে মানুষ এখন ন্যায্যবিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘বিচারিক আদালত থেকে ২১ আগস্টের হামলার মামলাটি নিয়ে এসে আওয়ামী লীগ নেতাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যেদিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সেদিন মানুষের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে তারেক রহমানকে ফাঁসাতেই সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মামলার সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আবার যাকে ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল, যদিও তিনি পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করে নেন এবং পুরো মামলায় আর কোনো সাক্ষী বলেননি যে, তারেক রহমান এই হামলায় জড়িত। এই মামলা নিষ্পত্তির আগে মুফতি হান্নানকে কেন ফাঁসি দেয়া হয়েছিল, সেটি নিয়েও জনমনে সংশয় রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মৎস্যজীবী দলনেতা আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড