• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে অধিকার বঞ্চিত প্রকৌশলীদের ক্ষোভ

  অধিকার ডেস্ক    ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:১২

আইডিবি নির্বাচন

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর ২০১৯-২০২১ মেয়াদের নির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ঘোষণাটি প্রকাশিত হলে প্রকৌশলীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

আগের স্থায়ীত্বকালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি। এ নির্বাচনে রেজিস্টার সদস্য ছিল ৪৯০০০ হাজার। তাদের মধ্যে ভোটার ছিল প্রায় ২৩০০০। গত মেয়াদকালের তুলনায় এবারের সদস্য সংখ্যা বাড়লেও, সবাইকে অবাক করে কমেছে ভোটার সংখ্যা। এবারের নির্বাচন পূর্ববর্তী ডাটা অনুসারে, তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫৬০০০ হাজার, যার মধ্যে ভোটার মাত্র ১৭০০০ হাজার (প্রায়)।

নতুন ভর্তি হওয়া ২৩০০০ সদস্য থেকে ভোটার হতে পেরেছে মাত্র ১০০০০ হাজার। ভোটার হওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে সংগঠনের উপর মহলের গাফলতিই এর কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংবিধানের ১১.০২.০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মেয়াদকালের শেষ বৎসরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও অভিযোগ আছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাড়াহুড়া করে নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। সংবিধানের ১১.০২.০৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিটি জেলা শাখার নির্বাচন মেয়াদকালের শেষ বৎসরের নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা। সাধারণত, জেলা শাখার নির্বাচনই আগে অনুষ্ঠিত হবার কথা। কিন্তু, অদ্যাবধি কোনো জেলা শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

সংবিধানের ১১.০৫.০১ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচনের ২ মাস পূর্বে জেলা কমিটি কর্তৃক সেই জেলার ভোটার তালিকা, পরিশোধিত চাঁদা আদায়ের রশিদের কেন্দ্রীয় অংশ এবং ভোটারের ছবি ও প্রয়োজনীয় তথ্য কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট প্রেরণের বিধান থাকলেও এক্ষেত্রে তা হয়নি। বরং ৭ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে ভোটার তালিকা কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট পাঠিয়েছে।

অনিয়ম এখানেই শেষ নয়। নির্বাচনের পূর্বে সদস্য প্রকৌশলীগণের চাঁদা ও সদস্য ভর্তিতেও অনিয়মের অভিযোগ আছে। সংগঠনের সংবিধান ১১.০৪.০১ (গ) অনুযায়ী ‘নির্বাচন তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ পূর্বক সদস্য ভুক্ত হইলে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হইতে পারিবে।’ কিন্তু হাজার হাজার নতুন সদস্য চাঁদা পরিশোধ করতে গিয়েও করতে পারেনি। ঢাকা জেনিকের সভাপতি মো. খবির হোসেন সদস্য প্রকৌশলীদের কাছ থেকে চাঁদা নিতে অস্বীকৃতি জানান।

বিক্ষুব্ধ সদস্য প্রকৌশলীগণ পরবর্তীতে গত ৫ অক্টোবর ৯০ জন এবং ৬ অক্টোবর ৪৫৫ জন তাদের সদস্য ভর্তি ফরম ও ভর্তি ফি অফিস সহকারীর নিকট জমা দিয়ে এসেছে। তবুও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি তাদের। সদস্য প্রকৌশলীগণের বক্তব্যে জানা যায়, বিগত নির্বাচনেও এখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যায়নি এবং এবারও তার পুনরাবৃত্তির নীল নকশা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

অনিয়ম এ সংগঠনের কেবল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নয়, বরং ছড়িয়ে পড়েছে এর প্রতিটি পরতে পরতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ইনস্টিউটের জন্য সরকারের অনুদান আছে বৎসরে ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। সরকারী এ অর্থে একটি ভবন নির্মান হয়েছে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই।

অর্থ পরিচালনার জন্য নাই কোন ট্রাষ্টি বোর্ড। পূর্বে সংবিধানে উল্লেখ ছিল একই পদে পর পর ২ বারের বেশী থাকা যাবে না। কিন্তু নিজেদের দাপট দেখিয়ে সে ধারা পরিবর্তন করে এখন যতবার খুশি থাকার নিয়ম বানিয়ে দখল দারিত্ব চালাচ্ছে।

শোনা যায় বিগত নির্বাচনে বংবন্ধু পরিষদের একটি নির্বাচনী প্যানেল করেছিল। অভিযোগ আছে, বর্তমান নেতাদের নির্দেশেই সেই নির্বাচনী প্যানেলকে ভবন থেকে বের করে দেয়। এমনকি তাদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে মনগড়া রেজাল্ট বানিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে ডা: এস এ মালেকের রাজনৈতিক সচিব /সহকর্মী শিমুলের সাথে যোগাযোগ করলে সত্যতা পাওয়া যায়। বরং ব্যক্তি-স্বার্থের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে নিজেদের জাহির করে বেড়ায়। এমনকি নির্বাচনের অনিয়ম ও তাড়াহুড়া করে অসময়ে নির্বাচনের কথা জানতে চাইলেও সবাইকে –প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বলে চালিয়ে দেন।

(পত্রিকায় প্রকাশিত আইডিইবি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা)

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড