• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ডিএমপির ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশ 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৫১
ডিএমপির র‌্যালি
শোভাযাত্রা ডিএমপির

ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আলোচক হিসেবে তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ম. তামিম, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক তালুকদার সোহেল। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম বিপিএম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে ‘ট্রাফিক গাইড বুক’ নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সড়কের শৃংখলা ফেরাতে সকলে সহযোগিতা চেয়ে কমিশনার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা ডিউটি করে থাকে। সব ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ উপেক্ষা করে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। আইন না মানার সংস্কৃতি আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। রাস্তায় নামলে কেউ আইন মানতে চাই না। ট্রাফিক শৃংখলা ফেরাতে ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন একান্ত জরুরী।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করে আমাদের পথ দেখিয়েছে। এজন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ট্রাফিকের বিশৃংখলা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। নিয়ম ভাঙ্গার অভ্যাস থেকে ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। সড়কের শৃংখলা ফিরে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘একটি দেশের উন্নয়নের পরিচয় সে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে রাস্তায় দিনকে দিন গাড়ি বাড়ছে, বাড়ছে যানজট। এখন সময় এসেছে এগুলো কন্ট্রোল করার। আমাদের সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন মানতে হবে। শিক্ষার্থীরা তোমরা নিজেরা আইন মানবে পরিবারকেও আইন মানতে বলবে। বিদেশের অনেক দেশে গাড়ির পরিবর্তে সাইকেল ব্যবহার করে। এতে যেমন যানজট হ্রাস পাবে তেমনি স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। বিদেশের মত এদেশেও সাইকেলের জন্য আলাদা লেন থাকা দরকার।’

অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ঢাকা শহরের দেড় কোটি জনগণের জন্য ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা অত্যন্ত কম। এই কম সংখ্যক পুলিশ দিয়ে ট্রাফিকের শৃংখলা ফেরানো সম্ভব না। আমাদের সকলকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। ট্রাফিক আইন ভাঙ্গার মাধ্যমে সকলের মধ্যে আইন ভাঙ্গার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। পুলিশের কাছে অনুরোধ আইন যেই ভঙ্গ করবে তাকে একটুও ছাড় দিবেন না।’

স্থাপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে আমরা ভয় পাব কেন? পুলিশ আমাদের বন্ধু। ভয় পাবে তারা যারা সন্ত্রাসী ও আইন অমান্যকারী। তোমরা শিক্ষার্থীরা যারা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করেছ যা নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। তোমরা দেখিয়েছ কিভাবে সড়কের শৃংখলা ফেরাতে হয়। ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ করে বলেন, গাড়িতে অনতিবিলম্বে ফ্লাগ স্ট্যান্ড ব্যবহার বন্ধ করুন।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চিত্র নায়ক ফারুক আহমেদ, জায়েদ খান, রিয়াজ, অভিনেতা আহমেদ শরীফ, নাদের চৌধুরী, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্কাউটের জাতীয় কমিশনার সরোয়ার মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রিন্সিপ্যাল বনমালী ভট্টাচার্য। এসময় ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশে উপস্থিত ছিল রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড