• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন

বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট, ঋতুস্রাবে ২৫ শতাংশ স্কুলছাত্রী অনুপস্থিত 

  অধিকার ডেস্ক    ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৪১

পানি সংগ্রহ
বুড়িগঙ্গা থেকে পানি সংগ্রহ করছেন এক নারী (চীনা মর্নিং)

পানি সরবরাহ নিশ্চিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে সফল হলেও দেশটিতে ৪১ শতাংশ উৎসের পানিই ই-কলাই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক প্রকাশিত ‘ওয়াটার সাপ্লাই, স্যানিটেশন, হাইজিন’ (ওয়াশ) শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনটি বলছে, এই তথ্য এই প্রমাণ করে যে, পানিতে উচ্চ মাত্রায় মলমূত্রের দূষণ ঘটছে। পানির বিশুদ্ধতার এই সংকটে ধনী-গরিবের কোনো ভেদাভেদ নেই। সকলেই ভুক্তভোগী এবং সমগ্র দেশজুড়েই সমস্যাটি বিদ্যমান।

প্রতিবেদনটি আরও বলছে, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত পানি সরবরাহ উৎসের আওতায় রয়েছে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ। তবে সরবরাহকৃত পানি দূষিত। পানিতে লক্ষ করা গেছে ই-কলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো সরবরাহ উৎস থেকে আসা পানিতেই এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।'

সরবরাহকৃত পানির নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, পাইপের ও পুকুরের উভয় উৎসের পানির ক্ষেত্রেই সংগৃহীত নমুনার ৮০ শতাংশে ই-কলাইয়ের উপস্থিতি রয়েছে। বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাংলাদেশের পুরো অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যহত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলোর দূষণে বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষি, শিল্প ও নগর কর্তৃপক্ষের ফেলা বর্জ্যের কারণে এসব উৎসের পানি দূষিত হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে এখনও প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ অস্থায়ীভাবে নির্মিত শৌচাগার ব্যবহার করে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদের শৌচাগার নেই সাবান ও পানি। শহরাঞ্চলের বস্তিগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের সংকট পাঁচগুণ প্রকট।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর সারিন জুমা বলেছেন, ‘একটি জাতির ভবিষ্যৎ উন্নতির পথে বাধা হতে পারে বিশুদ্ধ পানির অভাব। কেননা নিরাপদ পানির সঙ্গে শিশু-স্বাস্থ্য জড়িত। ’

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এবং প্রতিবেদনের রচয়িতাদের একজন জর্জ জোসেফ মনে করছেন, শুধু বসতবাড়িই নয়, জনসমাগমের স্থানে স্থায়ী শৌচাগার সুবিধা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখার সুযোগ বাংলাদেশের আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাকেন্দ্র, অফিস আদালতে নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষ ভুমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশে মাত্র অর্ধেকের মতো কারখানায় শৌচাগার আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাত্র অর্ধেকের ক্ষেত্রে নারীদের আলাদা শৌচাগার দেখা গেছে। এছাড়াও প্রতি চার ছাত্রীর একজন ঋতুস্রাবের সময় স্কুলে যায় না।

নারীর কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আরও অনেক বেশি সহায়ক হবে বলেও মনে করেন বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ এই অর্থনীতিবিদ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড