সাইবার অপরাধ দমনে সিআইডির নতুন ইউনিট

সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডির অধীনে 'সাইবার পুলিশ সেন্টার’ নামে নতুন একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এই ইউনিটটি মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সংঘটিত সব অপরাধ দমন, তদন্ত এবং পর্যবেক্ষণ করবে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশের একটি শাখা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. কামরুল আহসান তালুকদারের সই সম্বলিত একটি অনুমোদনের চিঠি মন্ত্রণালয়ের হিসাব শাখায় পাঠানো হয়।

এখানে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে অন্তত ৩৪২ জন সদস্য দেশব্যাপী কাজ পরিচালনা করবে। বাহিনীটির অধীনে কমপক্ষে ১টি বড় বাসসহ মোট ৪৯টি যানবাহন থাকবে।

এই সাইবার পুলিশ সেন্টারে অনুমোদিত পদগুলোর মধ্যে একজন ডিআইজি, দুইজন অতিরিক্ত ডিআইজি এবং তিনজন পুলিশ সুপার, ছয়জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ মোট ১৮ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ৪৫ জন পরিদর্শকের পদ থাকবে।

তাছাড়া আরও অন্তত ১৪০ জন উপ পরিদর্শক এবং ৩০ জন সহকারী উপ পরিদর্শক, ৭৬ জন কনস্টেবলসহ সিস্টেম এনালিস্ট, প্রোগ্রামারের পদ রয়েছে। যেখানে মোট ৩৪২টি পদের মধ্যে স্থায়ীভাবে অন্তত ৩০টি ক্যাডার পদ, বাকি ৩১২টি পদ অস্থায়ীভাবে সৃজন করা হবে।

একইসঙ্গে বাহিনীটির পরিবহনের মধ্যে রয়েছে-১২টি জীপ, ১৪টি পিকআপ, ১টি মাইক্রোবাস, ১টি মিনিবাস, ১টি বড় বাস এবং ২০টি মোটরসাইকেল। তাছাড়া মোট ৪৯টি যানবাহন।

এ বিষয়ে সিআইডি সূত্র মতে, এরইমধ্যে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তায় মোট ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেন্টার (সিআইসি) নির্মাণ করা হয়েছে।

এই সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো সাইবার ক্রাইম অপারেশন এবং ইনভেস্টিগেশন, সাইবার ক্রাইম গবেষণা এবং আইটি ফরেনসিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

তাছাড়া বাহিনীটির সুবিধার্থে ইতোমধ্যে অতি অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি যুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ ধরনের অপরাধ দমনে এখান থেকে পুলিশ সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ এবং শক্তিশালী করে গড়ে তোলাও হবে।