• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আজ বিশ্ব ডাক দিবস

পোস্ট অফিস এখনও অনেক স্লো

  অধিকার ডেস্ক    ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৪৪

ডাক দিবস_অধিকার

মধ্যযুগীয় ডাক ব্যবস্থা আধুনিক হতে হতে আজকের আধুনিক পোস্ট অফিস। মাত্র কয়েক বছর আগেও খাকি পোষাক পড়ে সাইকেলে চড়ে কাঁধে চিঠির ঝোলা নিয়ে ডাক পিয়ন ঘরের দুয়ারে দুয়ারে চিঠি বিলি করত। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ই-মেইলের ব্যবহারের সাথে সাথে কমেছে ব্যক্তিগত চিঠির আদান প্রদান। তবে দাপ্তরিক ক্ষেত্রে তথ্য আদান প্রদানে ই-মেইলের জনপ্রিয়তা বাড়লেও রয়েছে চিঠির আদান প্রদান, যার বেশির ভাগই ডাক বিভাগের মাধ্যমে। কিন্তু যারা এ বিভাগের দ্বারস্থ, তারা কি সন্তুষ্ট?

বর্তমান এই যুগে ইন্টারনেট কিংবা ফোনে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের সুবিধা ডাক বিভাগের গুরুত্ব যে অনেকটাই কমিয়ে এনেছে তা বলাই বাহুল্য। তবুও সামাজিক যোগাযোগ এবং ব্যবসা বাণিজ্যের কাজে ডাক ব্যবস্থা এখনও অপরিহার্য। এ বিষয়ে ডাক বিভাগের মহাপরিচালকের দাবি, সারা দেশেই আধুনিকায়নের মাধ্যমে ডাক বিভাগের সেবাকে দ্রুত করা হবে।

প্রতি বছর ৯ অক্টোবর ‌‌‌বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়। ইউরোপের ২২টি দেশের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে আজকের এ দিনে সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে গঠিত হয় ‘জেনারেল পোস্টাল ইউনিয়ন’, যার লক্ষ্য ছিল বিশ্বের প্রতিটি দেশের মধ্যে ডাক আদান-প্রদানকে অধিকতর সহজ ও সমৃদ্ধশালী করার মাধ্যমে বিশ্বজনীন পারস্পরিক যোগাযোগকে সুসংহত করা।

এখন আর কাগজের পাতায় ব্যক্তিগত আবেগ আর গুরুত্ব ভরা চিঠি আসে না, আসে শুধু গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য নিয়ে দাপ্তরিক চিঠি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিঠির সংখ্যা বেড়েছে। তার সঙ্গে নানা ধরণের চাকরির জন্য আবেদনের চিঠিও বেড়েছে।

পোস্ট অফিসে চিঠি পোস্ট করতে আসা একজন জানান, ‘পোস্ট অফিস খুব স্লো। ইমার্জেন্সি কাজে আমরা কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করি। খুব প্রয়োজন না হলে পোস্ট অফিসে আসি না।’ ব্যক্তিগত কাজে ইন্টানেট ব্যবহার করায় ব্যক্তিগত চিঠির পাঠানোর প্রয়োজন হয় না। তবে অফিসিয়াল কাজে ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয়।’

ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আতিউর রহমান অবকাঠামোর উন্নয়ন ও সেবাকে আধুনিক করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘অবকাঠামো বৃদ্ধির সাথে সাথে মানব শক্তির বিভাজন করতে হবে এবং আয় বাড়ানোর জন্য ব্যবসাকে বিস্তৃত করতে হবে।’

বাংলাদেশ ডাকের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল জানান,আধুনিক সফটওয়্যার আছে, কিন্তু মেশিনগুলো এখনও আনা হয়নি। সেগুলো আনার পরিকল্পনা আছে এবং এই চিঠিগুলো প্রসেস করার জন্য মেল প্রসেসিং সেন্টার আলাদাভাবে করা হচ্ছে। প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুত দেশের সর্বত্র এ সুবিধা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

ডাক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দাপ্তরিক চিঠির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকদের কুরিয়ার সার্ভিসের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। ডাক বিভাগের সেবা উন্নত হলে গ্রাহকরা এখান থেকেই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড