জনগণের সমর্থন থাকলেই ইভিএম ব্যবহার করা হবে : সিইসি

জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যদি নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সমর্থন করে তাহলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রত্যেক জেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনী করা হবে। প্রদর্শনী স্টলে আপনারা দেখবেন এবং বুঝবেন। ইভিএম নিয়ে অনেকে কথাবার্তা চলছে। তবে আমরা ইভিএম ব্যবহার করতে চাই, ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারে আইনের পরিবর্তন দরকার একটা। এটা হলো আরপিওর পরিবর্তন দরকার। এর জন্য আমরা সরকারের কাছে অর্থাৎ আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেটা এখন পর্যন্ত আইনে পরিণত হয়নি। যদি আইনে পরিণত হয়, আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরে যতটুকু সক্ষম আমরা হতে পারব, অতটুকু প্রয়োগ করার চেষ্টা করবো।’

৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আমরা যতটুকু সম্ভব হয় ততটুকু, যদি আমরা মনে করি ১০টা কেন্দ্রে ব্যবহার করা যায়, ১০টা কেন্দ্রে ব্যবহার করার চেষ্টা করব। ব্যাপকভাবে পারব না। কিন্তু আমরা এটাকে ইন্ট্রোডিউস করতে চাই। শুরু করতে চাই। নির্বাচন পরিচালনার জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে, এটা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার।’

নির্বাচন কমিশনের প্রধান বলেন, ‘এখন নতুন করে আর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে না। তাদের অসন্তুষ্ট করে কিছু করা হবে না। নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ড. আবু নইম মোহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েমসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।