অধিকার ডেস্ক ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৫৭
বিশ্বের ২৬৩ মিলিয়ন শিশু স্কুলের যাচ্ছে না। ২০৩০ সালে মৌলিক দক্ষতাবিহীন শিশুর সংখ্যা দাঁড়াবে ৮০০ মিলিয়ন। যা ভয়াবহ। অধিকারভিত্তিক প্রবণতাকে সামনে রেখে শিক্ষাখাতে বেসরকারি বিনিয়োগ করা উচিত। লক্ষ্য হওয়া উচিত—শিক্ষাকে যেন সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে আসা যায়। মুনাফা করা যেন লক্ষ্য না হয়। শ্রমিকদের মানসম্পন্ন শিক্ষা তাদের ব্যবসাকে বাড়িয়ে দেবে।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সংস্থাটির বৈশ্বিক শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন আয়োজিত শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সুবিধাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষাখাতের উন্নয়নের জন্য আরও বেশি বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। শিক্ষাখাতে অর্থায়নের যে শূন্যতা বিরাজ করছে, তা প্রচলিত সহযোগিতা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব হবে না। আমাদের অবশ্যই বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসডিজি ফোর-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থায়নের শূন্যতা পূরণ করতে উদ্ভাবনী কর্মপ্রক্রিয়া গড়ে তোলার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশীয় অর্থায়নের পরও এ খাতে শূন্যতা থাকবে।’ এজন্য শিক্ষা খাতে লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন দেশকে ঋণ দিতে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
টেকসই শান্তি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা শক্তিশালী হাতিয়ার উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি নিশ্চিত করতে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যখন উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়, তখন তা সামাজিক ক্ষতি কমিয়ে দেয়। ব্যক্তি জীবনে কর্মসংস্থান, উপার্জনের উন্নয়ন ঘটায় এবং দারিদ্র্য দূর করে।’
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাখাতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকার শিক্ষাখাতে ৮৬৭.২ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ দিয়েছ বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড