ইলিশে সুদিন : উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়াবে

চলতি বছর ইলিশের উৎপাদন বেশ। তাই জেলেদের মুখে হাসি। এ অর্থবছর উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

‘মোট মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার টন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার(২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ মৎস্যখাতে জড়িত এবং ১১ শতাংশের অধিক লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর ওপর নির্ভরশীল।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) ইলিশের অবদান এক শতাংশের অধিক। কাজেই একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ।’

মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ৯ বছরের ব্যবধানে ইলিশের উৎপাদন ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার টন, যা বৃদ্ধি পেয়ে গত ৯ বছরে প্রায় ৫ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ব্যাপক উদ্যোগের ফলেই মৎস্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়ায় দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছে। বিশ্বে ইলিশের উৎপাদনে বাংলাদেশ যেমন প্রথম স্থানের অধিকারী তেমনই আমরা একাই ৭০-৭৫ ভাগ ইলিশ উৎপাদন করে থাকি।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৭-০৮ অর্থবছর পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধিকালীন পরিবারপ্রতি মাসিক ১০ কেজি হারে চাল দেয়া হত। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪টি পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাছ ও মাছজাতীয় পণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছে, ৩ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের হিসেব অনুযায়ী ৬৮ হাজার ৩০৫ টন মাছ ও মাছজাতীয় পণ্য রফতানি করে ৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।