রেলের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

রাজধানীর বঙ্গবাজারের পাশের এলাকা ফুলবাড়িয়ায় রেলের আইকন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এদিকে রেলের সেখানকার অব্যবহৃত পতিত জমিতে পিপিপি/শিয়ারিং/জয়েন্টভেঞ্চারের মাধ্যমে খুব শিগগিরি অবকাঠামো নির্মাণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এর সঙ্গে অবৈধ দখলদারদের দখল থেকে রেলওয়ের ভূমি খুব দ্রুত পুনঃউদ্ধারের সুপারিশ করেছে এ কমিটি। তাছাড়া এ মন্ত্রণালয়ের যেসব প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, তা কোনো নীতিমালার আলোকে এ ব্যয় বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

রবিবার (২২ জুলাই) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত উক্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪৬তম সভায় এসব সুপারিশ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি এ. বি. এম ফজলে করিম চৌধুরী। সেসময় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং ইয়াসিন আলী।

কমিটির সূত্র মতে, সভায় ঢাকার বঙ্গবাজারে অবস্থিত রেলের জায়গায় প্রস্তাবিত আইকন ভবন নির্মাণের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বঙ্গবাজারের নিকটস্থ ফুলবাড়িয়ার আনন্দবাজার এলাকায় ২ দশমিক ৮৭ একর জমিতে ‘আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেল লাইন প্রকল্প এবং বিদ্যমান রেল লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পের ‘মেইন ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস/আইকন ভবন’ নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

সেসময় দশম জাতীয় সংসদকালীন সময়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যেসব প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, তার পরিসংখ্যান, ব্যয় বৃদ্ধির যথাযথ কারণ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম ও ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় এ কমিটি।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ বলছে, ‘বাংলাদেশে রেলওয়ে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চালুর লক্ষে কমিটির সদস্যরা বিশ্বের যে দেশে রেলওয়ে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেখানে সংসদীয় কমিটির পরিদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।’

গণসংযোগ বিভাগ আরও বলছে, ‘তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের সঙ্গে রেলওয়ের সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম, চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় পিপিপি/যৌথ মালিকানায় কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ, ফয়’স লেকের অধীনে থাকা রেলের জমি রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।'

উক্ত সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।