সাহিত্য ডেস্ক
নপুংসক সময়
যখন সন্ধ্যা নামে তখন গত জীবনের কথা মনে পড়ে আনমনে সুন্দর গণিকা যখন মনের কামনা মিটিয়ে দেয় তখন নপুংসক জীবন কাটে সময়ের।
জেব্রাক্রসিং এবং আমরা
জেব্রাক্রসিং ধরে অনেকদূর হেঁটে হলুদ বাতিতে থেমে গেলাম ওভারব্রিজগুলো অচল ভাস্কর্য হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকে পথের ধুলো গা ভিজিয়ে বাতাসে মেলে তখন জীবন খুব সুন্দর মনে হয় পথের কাছে
আমরা দাঁড়িয়ে; দালানেরা এদিক ওদিক ঠোকাঠুকি করে আনমনে শহরের বাস জীবনের অপেক্ষায় থাকে যদিও জীবন চিরকালই অসাবধান কিভাবে শেষ হয় একটা ক্ষুদ্রকায় জীবন! অন্তহীন পথের শেষ কোন দিগন্তে! তাই ল্যাম্পপোস্ট হয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকি।
হাহাকার দুঃখ
অনেকেই বলেছিল তার কথা যে শোনাবে মাউথ অর্গান আর স্পেনিশ গিটার মাখা সমুদ্রের নোনা গান দারুচিনি আর এলাচের বণিকরা ভিড় করে যে বন্দরে বাতিঘরের আলো যখন নাবিক দেখে না বিপর্যস্ত নোনা নাবিক যখন ফিরে আসে বেলাভূমিতে যে বন্দরে জমা হয় এসে সভ্যতার আবর্জনা যে জাহাজ বয়ে বেড়ায় ঘামদুঃখ গল্প আর মৃতপ্রায় ফুসফুসের ধুকপুক হাঁপর। যে বাগানে জন্মায় বিষফোঁটা মানব মানবী আর যে ফুল জন্মেই কলঙ্কিত এবং যারা অমরাতেই মৃত যে দেখেছিল সূর্যের প্রথম কর আর মাটির রং সে বলেছিল শোনাবে শুধু তাদের মর্সিয়া গাঁথা।
নারকেল বনে সুদর্শন উড়ে যে সুর তুলে বায়ু অর্কেস্ট্রায় এবং যখন অসংখ্য কমলালেবু মুছে দেয় মচকাফুলের সৌন্দর্য, তখন লবণকন্যা শিল্পীকেই খুঁজে গল্পকার জন্মান্ধ পৃথিবীর দীর্ঘ দুঃখ কবিতাচ্ছলে বলতে চেয়েছিল যে গল্পকার যখন সে জানলো বেদনাই জীবনের ফেনমেনা থমকে গেল তখন পাথরের মত সে বলেছিল তাদেরই গল্প শুনাবে বেহুলাও কেঁদে পাড়ি দিয়েছিল অসীম দুঃখের সাগর ইন্দ্রের সভায় কেঁদেছিল আর নেচেছিল দীর্ঘ ঘটনার পথ পাড়ি দিয়ে যখন মানুষ শেষ করে অনন্ত পথ তখন নিজেকে মূল্যহীন শূন্য খোলস মনে করে অথচ তারা চেয়েছিল দেবতার মত অমরত্ব! লবণকন্যা তাদের গল্প বলতে চেয়েছিল আমায় কিন্তু আমার তখন তাঁর গল্প শোনার পর্যাপ্ত সময় ছিলনা!
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড