সাহিত্য ডেস্ক
সকালের খাওয়া সারছিলেন মিসেস শাহানা। প্রতিদিন একাই সকালের খাওয়া সারেন। তার বয়স হয়েছে। ছেলেমেয়েরা যার যার মতো। সময়ের বিবর্তন।মেনে নিয়েছেন তিনি। ডায়াবেটিস আছে তাঁর। পরিমিত আহার। আহার শেষে চায়ের কাপে অতীত দেখছিলেন তিনি। ‘কী পেয়েছেন, কী পাননি’ ঠিক সেহিসেব নয়; আগে কেমন দিন ছিল এখন কেমন চলছে সেই হিসেব মিলাচ্ছিলেন তিনি। এখন যেন পুরোটা বিশ্ব উথাল-পাথাল। মানুষের মধ্যেআন্তরিকতার ছোঁয়া পর্যন্ত নেই। যার যার মতো সে সে ! কেন জীবন হয়ে গেল এমন ! মাঝেমধ্যে তিনি এমনই ভাবনার অতলে তলিয়ে যেতে যেতে চাশেষ করেন। আজও সেরকম ভাবনায় তলিয়ে ছিলেন।
হঠাৎ অনেক কাকের তীক্ষ্ণ চিৎকারে অতীতের ঘোর কাটলো তার। তিনি ঝুল-বারান্দায় এলেন। দশতলাতে থাকেন তিনি। রাস্তার ওপারে বাড়ির ছাদেরকার্ণিসে বসে ডাকছে প্রায় বিশ-পঁচিশটা কাক। চক্রকারে ঘুরছে চার-পাঁচটা। ওদের কা-কা-কা-কা- চিৎকারে একদিকে বিষাদের সুর অন্যদিকে বিদ্রোহের সুর বাজে।
মিসেস শাহানা তাকিয়ে আছেন; বুঝতে চেষ্টা করছেন। তিনি দেখলেন একটা হুমদো বিড়ালের মুখে কাকের বাচ্চা। বাচ্চাটাকে বাঁচাবার চেষ্টায় কাকেদেরএই চিৎকার। বিড়ালটির কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কাক-বাচ্চাটি মুখে নিয়ে সগর্বে ধীরেসুসে' হেঁটে ঢুকে গেল চিলেকোঠায়। কাকগুলোর বিষণ্ন ডাক বন্ধ হলো।বিষণ্ন হয়ে গেল পরিবেশ। মিসেস শাহানার মনও খারাপ হয়ে গেল।
মিসেস শাহানা দাঁড়িয়ে রইলেন। মনের ভেতর দুটো লাইন। এক লাইনে মানুষ অন্য লাইনে কাক। তিনি শূন্যে ছুঁড়ে দিলেন তাঁর ভাবনা- মানুষ কেন হয়না কাকেদের মতো।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড