• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘অনন্ত -মিথিলা’ কবিতাটির ধারাবাহিক পর্বের প্রথম অংশ

অনন্ত, মেহেদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়?

আবুল হোসেন খোকন

  সাহিত্য ডেস্ক

১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:১০
অনন্ত
ছবি: প্রতীকী

‘অনন্ত, মেহেদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়?’ আবৃত্তি শিল্পীর মধুর কণ্ঠে কবিতাটি শুনেনি এমন কবিতা প্রেমী কমই পাওয়া যাবে। কিন্তু লেখকের নাম অনেকেরই জানা নেই হয়তো। কবি আবুল হোসেন খোকন ‘অনন্ত-মিথিলা’ সিরিজ করেছেন কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে। দৈনিক অধিকারের সাহিত্য পাঠকদের জন্য আজ ‘অনন্ত -মিথিলা’ কবিতাটির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব দেওয়া-

অনন্ত

আবুল হোসেন খোকন

অনন্ত, মেহেদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়? উপরে সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত- নিজেকে আজকাল বড় বেশি মেহেদি পাতার মতো, মনে হয় কেন?

উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রণার- এমন সব বড় বড় গর্ত যে- তার সামনে দাড়াতে নিজেরই ভয় হয়, অনন্ত। তুমি কেমন আছো? বিরক্ত হচ্ছ না তো?

ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে পারে- সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত- আমার জানা ছিলো না। তোমার উদ্দাম ভালোবাসার দূতি- জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে আমার ভিতর- আমার বাহির- আমার হাতে গড়া আমার পৃথিবী।

অনন্ত, যেই মিথিলা শুখি হবে বলে- ভালোবাসার পূর্ণ চঁন্দ গিলে খেয়ে- ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেল, আজ অন্য শূন্য, অনন্তকে আরো শূন্য করে দিয়ে- তার মুখে এসব কথা মানায় না, আমি জানি- কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি না আমার চারদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করে- আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত।

উদাস দুপুরে বাতাসে শিষ দেয় তোমার সেই ভালোবাসা পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতন- তোমার স্মৃতি। আমি আগলাতেও পারি না, আমি ফেলতেও পারি না। শুখি হতে চেয়ে এখন দাড়িয়ে আমি- একলা আমি- কষ্টের তুষার পাহারে।

অনন্ত তোমার সামনে দাড়ানোর কোন – যোগ্যতাই আজ আমার অবশিষ্ট নেই। তবুও, তবুও তুমি একদিন বলেছিলে- ভেজা মেঘের মতো- অবুজ আকাশে উড়তে উড়তে- জীবনের সুতোয় যদি টান পরে কখনো? চলে এসো, চলে এসো- বুক পেতে দেব-আকাশ বানাবো আর হাসনা হেনা ফুটাবো।

সুতোয় আমার টান পরেছে অনন্ত, তাই আজ আমার সবকিছু, আমার এক রোখা জেদ, তুমি হীনা শুখী অনেক স্বপ্ন! সব, সবকিছু জলাঞ্জলী দিয়ে- তোমার সামনে আমি নত জানু- আমায় তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও। কথা দিচ্ছি- তোমার অমর্যাদা হবে না কোনদিন।

অনন্ত, আমি জানি- এখন তুমি একলা পাষান কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও, প্রচন্ড এক অভিমানে- ক্ষনে ক্ষনে গর্জে উঠে অগ্নিগিরি। কেউ জানে না, আমি জানি- কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না, ঘরের মাঝে ঘর থাকে না, উঠোন জোরার উপর কলস- তুলসি তলের ঝড়া পাতা, কুয়ো তলার শূন্য বালতি- বাসন-কোসন, পূর্নিমা-অমাবর্ষা, একলা ঘরে এই অনন্ত- একা শুয়ে থাকা। কেউ জানে না, আমি জানি- কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে- সব হরিয়ে বুকের তলের চিতানলে- কেন তুমি নষ্ট হলে? কার বিহনে চুপি চুপি, ধীরে ধীরে- কেউ জানে না, আমি জানি- আমিই জানি।

আগামি শনিবার ভোরের ট্রেনে তোমার কাছে আসছি। অনন্ত, আমার আর কিছু না দাও- অন্তত শাস্তিটুকু দিও। ভালো থেকো! তোমারি হারিয়ে যাওয়া মিথিলা।

মিথিলা

আমার মতো বেওয়ারিশ একটা পথের কাঙ্গালের সাথে ঘর বেধে শুধু শুধু নষ্ট হতো তোমার জীবন বরং এইতো ভাল এখন তুমি, সুখে আছো তো মিথিলা ? হ্যাঁ সুখে আছি ভয়াবহ ভাবে সুখে আছি

অনন্ত, ভুল সুখ, ভুল আভিজাত্য, আর ভুল পূর্ণতা আমায় তাড়া করতে করতে যেদিন দেয়ালে নিয়ে ঠেকালো যেদিন দেখলাম আর পথ নেই আমার পথ চলবার সেদিন ই তার সাথে আমার সম্পর্ক চুকে গেছে

অনন্ত , আর কিছু জানতে চেয়ো না কি নিষ্ঠুর এ খেলা তাই না অনন্ত ?

কাল রাতে , কেন যেন বার বার মনে হয়েছে তুমিই অনন্ত, কিন্তু... আচ্ছা, তমি কেন নিজেকে লুকলে ? ভয়ে.... কিসের ? একাকীত্বের শান্তিতে বিঘ্ন ঘটার।

তুমিই বা কেন পরিচয় গোপন করলে? ঐ একই কারণে ...... আচ্ছা, শুনেছিলাম তুমি বাইরে সেটেল করেছ এলে কবে ? এই অল্প কিছুদিন

এই একটা কবিতা বলো না-

যো হুকুম ..

ও সোনা বৌ আবার একবার আয়না দেখি কেমন পারিস দুঃখের শিকল ছিঁড়ে ফেলে সিংহাসনের মোহ ভুলে পলকে তোর চোখ সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ি কেমন দেখিস, ও সোনা বৌ আবার একবার আয়না দেখি কেমন পারিস

এই যে এখন এই আঙ্গিনায় হাসনা হেনায় লেগে গেলো চাঁদের আগুন চোখের জলের বইছে নদী, ভুলের বোঝা বাড়ে দ্বিগুণ উথাল পাথাল জোছনা রাতে তোর অভাবে এই অভাবীর নেই চোখে ঘুম

এমনি সময় জোছনা বরং ঘোমটা তুলে রুনুঝুনু নূপুর পায়ে হৃদয় পাতা পথ মাড়িয়ে ও সোনা বৌ, সেই যুবকের পাসটি ছেড়ে আয়না শ্যামা কেন এমন যত্ন করে কষ্টে রাখিস ? ও সোনা বৌ।

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড