অধিকার ডেস্ক ২৯ জুলাই ২০১৮, ২১:১৪
বর্ষার স্নিগ্ধ সতেজ রূপ দেখে একদিকে যেমন মুগ্ধতা বাড়ে তেমনি হঠাৎ হওয়া বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে ঠাণ্ডা লাগানোর নজির কিন্তু কম নেই। শুধু কি তাই? ঠাণ্ডা থেকেই খুসখুসে কাশি এমনকি জ্বর পর্যন্ত এসে যায়। এ কথা মানতেই হবে যে বর্ষাকালে নানারকম অসুখ-বিসুখের প্রবণতা বেড়ে যায়। বাড়ে। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে হলে খাওয়াদাওয়ার উপরও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। বর্ষায় সুস্থ থাকতে এবং সংক্রমণ এড়াতে কিছু মশলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তাহলে আসুন জেনে নিই এমন কিছু মশলার কথা যেগুলো রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে -
আদা : বর্ষা ভেজা দিনে আদা চা খাওয়া যেতেই পারে। আদার ঝাঁঝ আপনাকে সতেজ রাখার পাশাপাশি হজমেও করবে সহয়তা। এমনকি মানসিক চাপ দূর করতে আদা চায়ের তুলনা নেই। এছাড়াও আদা ছোটখাটো ঠাণ্ডার সমস্যা, নিঃশ্বাসের সমস্যা দূর করে দেয় নিমেষেই।
কাঁচা হলুদ : প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খান কয়েক কুচি কাঁচা হলুদ। চামড়ার চাকচিক্য, সুস্থ লিভার, উন্নত হজমশক্তি- সব কিছুকেই সাহায্য করে এই মশলা। প্রতিদিনের রান্নায়ও ব্যবহার করুন ভালো হলুদগুঁড়া। ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা থাকলে এক গ্লাস দুধে কয়েক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলেও কমবে তাও।
জিরা : রান্নায় ভিন্ন স্বাদ আনার জন্য জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি রান্নায় স্বাদ আনার পাশাপাশি হজমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এর অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান লিভার ও অগ্ন্যাশয়ের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং দেহকে ক্ষতিকর টক্সিন মুক্ত করতে সাহায্য করে।
ধনিয়া : রান্নায় স্বাদে ভিন্নতা আনতে ধনিয়ার তুলনা হয় না। ধনিয়ার বেশ ভালো স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। হজম সমস্যা, নিঃশ্বাসের সমস্যা, মুত্রথলীর সমস্যা এবং ত্বকের কিছু সমস্যার সমাধান করে ধনিয়া। বর্ষায় সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচতে তাই রান্নায় ধনিয়া রাখতে ভুলেন না।
মেথি : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বর্ষাকালে জ্বর ও বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে মেথি দিয়েই বানান নানা খাবার। মেথিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে। মেথি ভেজানো জল রক্তে শর্করার পরিমাণকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
হিং : অ্যান্টি ভাইরাল হিসাবে চিকিৎসকরাও ভরসা করেন হিংয়ের উপর। রান্নায় সঠিক পরিমাণে হিং ব্যবহার করলে তা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, পেটের নানা সমস্যায়ও কাজে আসে এই মশলা।
গোল মরিচ : গোল মরিচে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, রক্ত পরিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে তা। নানা খাবারের সঙ্গে মশলা চা-ও বানাতে পারেন গোল মরিচের সাহায্যে।
দারুচিনি : ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ফাইবার এবং আয়রন সমৃদ্ধ দারুচিনি কেবল রান্নায় স্বাদ-গন্ধই বাড়ায় না, এটি জীবাণুনাশক হিসাবেও কার্যকরী। দারুচিনি দেয়া চা খেলে ঠাণ্ডা লাগার প্রকোপ অনেকটাই কমে।
লবঙ্গ : ইউগেনল সমৃদ্ধ লবঙ্গ রক্ত পরিশুদ্ধ রাখে। শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এবং শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
এলাচ : সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেবে এলাচ। চায়ের সঙ্গে মধু মেশানো এলাচ খেলে কমতে পারে সর্দি-কাশির উপদ্রব। নিয়মিত এলাচ খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। এলাচের মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকে ছাপ, বলিরেখা পড়তে বাধা দেয়। মুখের দুর্গন্ধ হাত থেকে বাঁচতে মুখে রাখুন দু-তিনটে এলাচ। মুখের ঘা, মাড়ির ক্ষত ইত্যাদিতে এলাচ অব্যর্থ ওষুধের কাজ করে।
তেজপাতা : তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা হার্টের ইনফেকশন কমায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। সর্দিকাশি, কফ জমা, ফ্লুতে তেজপাতা সেদ্ধ করে সেই পানি খান কিংবা তেজপাতা সেদ্ধ করে বেটে, বুকে মালিশ করুন। নিমেষে আরাম পাবেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড