• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পৃথিবির প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত রাশিয়ার সোয়ুজ মহাকাশযান

মহাকাশযান বিধ্বস্ত : আশ্চর্যজনকভাবে প্রাণে বাঁচলেন ২ নভোচারী

  অধিকার ডেস্ক    ১১ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৩০

মহাকাশযান বিধ্বস্ত
বিধ্বস্ত সোয়ুজ এম এস- ১০। ছবি : এক্সপ্রেস ইউকে

কাজাখস্তান থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের কিছু সময়ের মধ্যেই রাশিয়ান সোয়ুজ রকেটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণ করানো হয়, এতে থাকা একজন মার্কিন এবং একজন রাশিয়ান মহাকাশচারী বিস্ময়করভাবে প্রাণে রক্ষা পান। ‘বিবিসি নিউজ’

নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সোয়ুজ এমএস-১০ কাজাখস্তানের বাইকনুর কসমেড্রোম থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ২ টা ৪০ মিনিটে উৎক্ষেপণ করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বুস্টারে একটা সমস্যা দেখা দেয়। ‘এক্সপ্রেস ইউকে’

ছবি : দা গার্ডিয়ান

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’ জানায়, তাদের বহনকারী সোয়ুজ ক্যাপসুলটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারেনি, মহাকাশে থাকা অবস্থায় এটি ত্রুটির কারণে রকেটটিকে ‘স্টিপ ব্যালিস্টিক গোত্রভুক্ত’ যানে পরিণত হয়। প্যারাট্রুপার ও উদ্ধারকর্মীরা তাদের দ্রুত প্যারাসুট খুলে উদ্ধার করে। তারা জানায়, উভয়েই সম্পূর্ণ সুস্থ আছে, এমনকি মেডিকেল টিমের সাহায্য ও দরকার পড়েনি।

ত্রুটির কারণ এখনও সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট নয়। উৎক্ষেপণ খুব ই স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছিল কিন্তু ৯০ সেকেন্ডের পরে নাসা তার লাইভস্ট্রিমে দেখেছে যে, বিচ্ছেদের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে বুস্টারটির সঙ্গে রকেটের একটি সমস্যা ঘটেছে। যখন এটি পড়ে যায় তখন দুই নভোচারীকে কেঁপে উঠতে দেখা যায় ক্যাপসুলের ভেতরের ভিডিও ফুটেজে।

ছবি : গেটি ইমেজ

সোয়ুজ এমএস-১০ মহাকাশযানটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পথে যাওয়ার সময় মধ্য কাজাখস্তানের যেজখাগান নামক অঞ্চলের কাজাহ শহরে মাঝ আকাশ থেকে ছিটকে পড়ে। উড্ডয়ন কেন্দ্র থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলোমিটার।কাজাখস্তানের বাইকনুর কসমোড্রোম থেকে উড্ডয়নের পর, নিক হেগ এবং অ্যালেক্সে ওভশিনিন রকেটের বুস্টারের একটি সমস্যা কথা রিপোর্ট করেন।

নাসার বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘হেগ ও ওভিশিনিন ভালো আছে। তাদেরকে মস্কোর বাইরে রাশিয়ার স্টার সিটির গ্যাগারিন কসমোনট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হবে।

ছবি : নাসা

নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন এবং নাসার একটি টিম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। নাসা ক্রুর নিরাপদ রিটার্ন নিশ্চিত করার জন্য রসকসমসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ক্রুদের নিরাপত্তা নাসার জন্য সর্বাধিক অগ্রাধিকার। ঘটনার কারণ নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করা হবে।’

কসমোনট অ্যালেক্সান্ডার ভলকব স্থানীয় ‘এনটিভি’তে নভোচারীদের সম্পর্কে বলেন, তারা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে তারা জীবিতভাবে ফিরে আসতে পেরেছে। ক্যাপসুলটি বিচ্ছিন্নতার জন্যে খুব ভাল এক উচ্চতায় ছিল।

ছবি : সিএনএন

রসকসমসের সাধারণ পরিচালক দিমিত্রি রোগোজিন জানান, ২০১৭ সালের নভেম্বরে রসকসমস একটি নতুন আবহাওয়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল। দূরপ্রাচ্যে রাশিয়ার নতুন ভস্টোঞ্চি কসমেড্রোমে বিস্ফোরিত হয়ে দা-মিটিওর-এম এর সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল। সেসময়ে ২৬ বিলিয়ন রুবল (প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকার) স্যাটেলাইট চালু করার সময় একটি বিব্রতকর প্রোগ্রামিং ত্রুটির কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

সোয়ুজ প্রাচীনতম রকেট ডিজাইনগুলির মধ্যে একটি যা সবচেয়ে নিরাপদ বলেই বিবেচিত। দুর্ঘটনাটি সম্ভবত জ্বালানীহীন অংশটাকে জ্বালানীপূর্ণ অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া (‘স্টেজিং’) চলাকালীন ঘটে।

আশ্চর্যজনকভাবে সুস্থ অবস্থায় অবতরণ করে নভোচারীরা। ছবি : এপি

২০ বছর আগে চালু হওয়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) মহাকাশচারী বহন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে মস্কোর ওপর নির্ভর করে। নাসা আগামী এপ্রিলের তার ক্রুদের সোয়ুজের পরিবর্তে স্পেসএক্স ক্রাফ্ট ব্যবহার করে আইএসএসে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড