• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিষেধাজ্ঞা অমান্যে অটোরিকশার টায়ার কেটে দিলেন জাবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা

  জাবি প্রতিনিধি

২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:২৪
জাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অটো রিক্সা চালানোয় রিক্সার টায়ার কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনের বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রবিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলাচলরত ১৫-১৮টি অটো রিক্সার টায়ার ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দেন সুদীপ্ত শাহীনসহ নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা। এ সময় তারা রিক্সা চালকদেরকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ করেছেন একাধিক রিক্সা চালক ।

আহমদ আলী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ রিক্সা চালক জানান, আমি আজ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে রিক্সা নিয়ে এসেছি। শরীরটা খুব অসুস্থ ছিল এ জন্য বটতলা একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। হঠাৎ শাহীন স্যারসহ আরও কয়েকজন বড় ছুরি নিয়ে আসলো আর আমার রিক্সার টায়ার কেটে দিলো। বলেছিলাম বাবা আমার গলায় ছুরি দাও তবুও রিক্সায় দিও না আমার এটা ঠিক করার মতো টাকা নাই।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা টিম আজ বেশ কয়েকটি অটো রিক্সা অকেজো করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো অটো রিক্সা চলতে দেওয়া হবে না। ইতোপূর্বে কয়েকবার মাইকিং করা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অটো রিক্সা চলাচল বন্ধ না হওয়ায় আমরা এ অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছিলাম।’

এদিকে এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। কেউ বলছেন সুদীপ্ত শাহীন কাজটি ঠিক করেননি। আবার কেউ বলছেন তিনি যা করেছেন ঠিকই করেছেন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ‘আমরাই জাহাঙ্গীরনগর’ ফেসবুক গ্রুপে চলছে তর্ক-বিতর্ক।

শাহরিয়ার শরীফ নামের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গরীব মানুষকে না মেরে একজন ক্ষমতাবানকে মেরে দেখান। তারপর দেখা যাবে তোমার অাসল ক্ষমতা রিকশাওয়ালা অসহায় গরীবকে মারার মধ্যে শুধুই কাপুরুষতা প্রকাশ পায়।’

তানজিম বোরহান নামের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘উনি তো নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ভাবেন।’

বাবু হোসেন আকরাম নামের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভাড়াটে প্লেয়ার হলে যা হয়। ক্যাম্পাসের ছাত্র হলে সমস্যা হতো না। অ্যাটিচিউরড দেখলে পুলিশের আইজিপি মনে হয়।'

রেদোয়ান সুমন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সুদীপ্ত শাহীন ভাইয়ের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ নতুন কিছু না। তারপরও ভাই অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ক্যাম্পাস থেকে বিভিন্ন অপকর্ম দূর করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভাই আপনি আপনার কাজ করে যান।’

ওয়াহিদ মুরাদ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘৭০০ একরের ক্যাম্পাস বলতে গেলে একাই সামলে রাখেন তিনি । উনি না থাকলে বাইরের পোলাপানের জন্য ক্যাম্পাসে টেকা দায় হবে, তখন আবার শিক্ষার্থীরাই বলবেন সিকিউরিটি অফিসার কী করে। ওনার কাজের প্রশংসা করি।’

মিশকাতুর রহমান জাকির নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নিরাপত্তা কর্মীর কাজ হলো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা দেয়া, তো কেউ যদি ক্যাম্পাসে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে তাহলে ওনি তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতেই পারে এটাই স্বাভাবিক। আবার কিছু না করলেও সবাই আবার বলাবলি শুরু করবে যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা সারাদিন কী করে। আমার কথা হলো উনি নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে যথেষ্ট দায়িত্বশীল মানুষ।’

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড