• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দায় কার?

সেশনজটে নাকাল হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

  হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:১৬
অনুষদ
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ (ফাইল ছবি)

ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সোস্যাল সাইন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের তিনটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বারবার বিভাগে শিক্ষক সংকট, শিক্ষকদের বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস নেওয়া, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা না নেওয়া এবং পরীক্ষার খাতা নির্ধারিত সময়ে মূল্যায়ন না করাসহ শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ততাকেই সেশনজটের জন্য দায়ী করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। ফলে চার বছরের সম্মান কোর্স শেষ করতে লাগছে ৫ বছরের বেশি। অন্যান্য অনুষদের সাথে তুলনা করলে সোশ্যাল সাইন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

অনুষদের ৩ টি বিভাগের প্রতিটি ব্যাচেই কম-বেশি সেশনজট রয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজি বিভাগের ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ব্যাচ, অর্থনীতি বিভাগের ১ম, ২য়, ৩য় এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১ম, ২য় ব্যাচের সেশনজট বেশি থাকলেও সবকটি ব্যাচের সেশনজট রয়েছে। এই অনুষদের ইংরেজি বিভাগ রয়েছে সবার শীর্ষে। এ দিকে সেশনজটের কারণে হতাশায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা।

ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, যদি অনার্স শেষ করতেই ৫ বছর লাগে তাহলে কীভাবে কী করব আমরা? যাদের সঙ্গে এইচএসসি পাস করলাম তাঁরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এখন চাকরি করে। আর আমরা মাত্র পরীক্ষা শেষ করলাম।

অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, সেশনজট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হাজারো তরুণ তরুণীর স্বপ্ন পূরণের পথে যেন একটা কংক্রিটের দেয়ালের মতো। প্রতি এক মাসের জট মানেই স্বপ্ন পূরণের জন্য বড় একটা ধাপ পিছিয়ে থাকা। সেশনজট মানে হতাশা এবং অপার সম্ভবনাকে যেন জোর করে মুষ্টিবদ্ধ করে রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি সঠিক সময়ে কোর্স শেষ করে তবে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের দ্বার একটু বেশি হলেও উন্মুক্ত হবে বলে মনে করি।

এ বিষয়ে অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ. টি. এম. রেজাউল হক জানান, শিক্ষক সংকট, শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস না নেওয়া এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক জটিলতার কারণে সেশনজট তৈরি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় শিক্ষকদের যথাসময়ে ক্লাস সম্পূর্ণ, সঠিক সময়ে পরীক্ষা এবং ফলাফল প্রকাশ করতে পারলেই সেশনজট মুক্ত হতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তারপরও আমরা এ বিষয়ে নিয়মিত বসে আলোচনা করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে বিভাগীয় শিক্ষকরা তাদের অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যায় তবেই সেশনজট মুক্ত হতে পারবে সোশ্যাল সাইন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদ।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড