ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার দুর্গম চরে ক্যাপসিকাম চাষ করে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। অন্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষকই ক্যাপসিকাম চাষে ঝুকে পড়েছে। এতে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হচ্ছে অন্যদিকে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। ক্যাপসিকামের বিজ সংকটের কারণে কৃষকরা বিপাকে রয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীর মাঝে বিচ্ছিন্ন এক জনপদ মাঝের চরে গত ৩ বছর আগে প্রথম ক্যাপসিকামের আবাদ করেন কৃষক তছির ব্যাপারী। তার সফলতা দেখে ও আবহাওয়ায় উপযোগী এখন বহু কৃষকের বিস্তীর্ন ফসলের মাঠে এখন ক্যাপসিকাম সবজির সমারোহ।
রোগ ও পোকার আক্রমণ ছাড়াই চলতি মৌসুমে সেখানে অন্য ফসলের চেয়ে উন্নত জাতের ক্যাপসিকাম মরিচের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। ফসলের ক্ষেতের পরিচর্যা, তোলা আর আগাছা দমনের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। প্রতি একরে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ৯০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা। ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশীয় সনাতন মরিচের চাষাবাদ করে লাভবান না হলেও ক্যাপসিকাম আবাদ করে অনেক খুশি তারা।
তছির উদ্দিন ব্যাপরী ক্যাপসিকাম চাষি জানান,এবছর ক্ষেতের ফলন ভালো হওয়ায় তারা ভালো দাম পাবেন বলে কৃষকরা আশা করছেন। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপশি তাদের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে।
কৃষক তবে ক্যাপসিকামের বীজ ভোলায় না পাওয়ায় কৃষকরা বিপাকে রয়েছে। ঢাকায় একটি সিন্ডিকেট এই বীজ বিক্রি করায় ভাল বীজ কৃষকরা পাচ্ছে না।
বীজ সংকটের ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ভাবে এ বীজ সরবরাহের ব্যাপারে তাদের কোনো সিন্ধান্ত নেই। তবে ক্যাপসিকাম চাষের আবাদ বৃদ্ধি পেলে ভোলার বাজারে এই বীজ পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ভোলায় গত বছর জেলায় ২ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকামের আবাদ হলেও এ বছর জেলায় ২০ একর জমিতে ক্যাপসিকামের চাষ হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি ক্যাপসিকামের চাষাবাদ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড