• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিশু রোগীকে ছুঁড়ে ফেলল চিকিৎসক

  বরিশাল প্রতিনিধি

২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৫৩
নির্যাতনে শিকার শিশু
চিকিৎসকের নির্যাতনে শিকার শিশু

বরিশালে গৃহকর্মী লামিয়া ওপর নির্যাতনের ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় চলছে। নির্যাতনকারীদের শাস্তির প্রশ্নে প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বমহল এক অবস্থানে রয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তেই আবারও এক শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণের ঘটনা ঘটেছে বরিশালে।

তবে এটি কোনো বাসা বাড়িতে কোনো গৃহকর্মীর ঘটনা নয়। চিকিৎসকের চেম্বারে ভয়ে কেঁদে ওঠা পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে তার মায়ের সামনে বেধম মারধর করে দু’গালে আঙুলের ছাপ ফুটিয়ে তুলেছে বদ মেজাজী চিকিৎসক।

শনিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর সদর রোডে মেঘা ডায়াগনস্টিক ল্যাবে শেবাচিম হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বাবুল কুমার সাহা নতুন এই ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। শুধু শিশুকেই নয়, প্রতিবাদ করায় চিকিৎসক অকথ্য এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে শিশুর মায়ের সাথেও।

মারধরের শিকার শিশু মো. রিয়াজ খান ঝালকাঠির আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস খানের ছেলে। এ নিয়ে চেম্বারে উপস্থিত অন্যান্য রোগী এবং স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে মুহুর্তের মধ্যেই ঘটনাটি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন এ ধরনের একাধিক ঘটনার জন্ম দেয়া বদ মেজাজী ডা. বাবুল কুমার সাহা।

শিশুর মা সাথি আক্তার জানান, ছেলের হাতে ফ্রাকচার হয়েছে। এ জন্য সদর রোডে মেঘা ডায়াগনস্টিক ল্যাবে ডা. বাবুল কুমার সাহার চেম্বারে নিয়ে আসেন। এক্সরেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে শিশুর হাতে ব্যান্ডেজ করতে হবে বলে জানায়। সে অনুযায়ী চেম্বারের মধ্যেই শিশু রিয়াজ খানকে হাতে ব্যান্ডেজের জন্য নিয়ে যায়।

সাথি আক্তার বলেন, রিয়াজকে একাই ব্যান্ডেজের জন্য নিয়ে যাওয়ায় সে ভয় পেয়ে কান্না শুরু করে। তখন আমরা ভেতরে যেতে চাইলেও ডাক্তার যেতে দেয়নি। বরং ব্যান্ডেজ করার সময় ভেতরে বসে কান্না করায় শিশু রিয়াজের গালে চড় দেয় ডাক্তার। এতে তার কান্না আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, শিশুটি চলে যেতে চাইলে তাকে বেডের ওপর তুলে ধরে একাধিকবার তুলে ছুঁড়ে ফেলে বদ মেজাজী ডা. বাবুল কুমার সাহা। তখন তার মা ভেতরে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তার সাথেও অকথ্য ব্যবহার করে। এমনকি তার সামনেই শিশুর দুই গালে একের পর এক চড় মারতে থাকে। এতে দুই গালে ডা. বাবুল কুমার সাহার পাঁচ আঙুলের দাগ পড়ে যায়।

শিশুর গালে আঙ্গুলের ছাপ পড়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. বাবুল কুমার সাহা বলেন, দাগ তো কতভাবেই পড়তে পাড়ে। তিনি ওই বাচ্চাকে মারেননি বলে এড়িয়ে যান।

এ বিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ ও মিডিয়া বিভাগের (ডিবি) সহকারী কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা অবশ্যই অন্যায়। কেননা শিশুদের গায়ে হাত তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। তবে সদর রোডের মেঘা ডায়াগনস্টিক ল্যাবে চিকিৎসক কর্তৃক শিশুকে মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন নাসির উদ্দিন মল্লিক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড