সুবল রায়
জীবনের নতুন ঠিকানা খুজে পেয়েছেন আব্বাস, আইয়ুব, জিতেন, যোগেন, শরীফারা। জীবনের শেষ সময় যাদের নাতি নাতনীদের নিয়ে ঘরে বসে সুখে শান্তিতে থাকার কথা ছিল তাদের এখন ঠাই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম শান্তি নিবাসে। তবে ছেলে মেয়ে নাতি নাতনিদের কথা মনে হলে চোখের কোল বেয়ে অশ্রু নেমে আসে। কেউ এসেছেন অভাব অনটনের সংসারে বোঝা হয়ে না থেকে, কেউ এসেছেন ছেলের বউয়ের নির্যাতন সইতে না পেরে। কারো ইচ্ছে নেই বাড়িতে ফিরে যাওয়ার। পরিবারের সেই নির্যাতনে এখানে তারা শান্তিতে আছেন বৃদ্ধাশ্রম শান্তি নিবাসে। এমনটাই বলেছেন বৃদ্ধাশ্রুমে থাকা এসব বৃদ্ধরা।
দিনাজপুর শহরে রাজবাড়ীতে একটি ভবনে চালু করা হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম। ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল মাসে 'শান্তি নিবাস' নামে এই বৃদ্ধাশ্রমের যাত্রা শুরু হয়। তবে শুরুতে এখানে বৃদ্ধ ছিল মাত্র ২০ জন। বর্তমানে রয়েছে ১৫ জন। বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেয়া বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বয়স ৮০ বছর থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত।
দিনাজপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক জামাল উদ্দিন আহমেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের উদ্যোগে এ প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়। জেলার বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের নাম ঠিকানা গোপন রেখে এখানে সহযোগিতা করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এই টাকা ব্যাংকে আমানত রেখে মাসিক মুনাফা থেকে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিতদের ভরণ পোষণ চলে।
বৃদ্ধাশ্রমের আশ্রিত বৃদ্ধাদের সেবা করতে পেরে খুবই খুশি এখানকার সেবিকা ও বাবুর্চি সখিনা বেগম। প্রায় ৩ বছর ধরে তিনি এখানে কর্মরত রয়েছেন। সে তার অনুভূতির কথা এই ভাবে বলেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অটুট বন্ধন এই শান্তি নিবাস। পুরোনো স্মৃতি মনে হলেও আবেগ আপ্লুত তারা। অনেকে প্রিয়জনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শান্তি নিবাস বসবাসকারী বৃদ্ধরা তাদের অনুভূতি কথা এভাবে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড