• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নোয়াখালীর আক্তারমিয়ার হাট-সোনাপুর সড়কে বেহাল দশা

  নোয়াখালী প্রতিনিধি :

১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪২
ছবি : সংগৃহীত

নোয়খালীর সুবর্ণচর উপজেলার আক্তার মিয়ার হাট - সদর (সোনাপুর) আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষকে এখন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির অনেক অংশেই এখন কার্পেটিং উঠে মাটি বের হয়ে গিয়েছে। এতে বিশেষ করে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল চালকদের পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। কারণ রাস্তায় উঠে যাওয়া খোয়াতে স্লিপ কেটে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় অনেককে।

সুবর্ণচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সুবর্ণচরের আক্তারমিয়ার হাট বাস স্ট্যান্ড থেকে জেলা সদরের সোনাপুর বাজার পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার। ২০১৪ সালে এই আঞ্চলিক সড়কটি মেরামত করা হয়। দীর্ঘদিন মেরামত না করা ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সড়কে ঢাকা ও চট্রগ্রামগামী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, বাটাহাম্বার, নছিমন, করিমন, ট্রলি (বালুবাহী), ইজিবাইক, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই অঞ্চলের, সোলেমান বাজার, হাজী ইদ্রিস বাজার, আক্তার মিয়ার হাট, এছাক মুন্সির হাট, কেরামতপুর, চর ওয়াপদা, নবগ্রাম, গাজির খেয়া, ভাটিরটেক, ধর্মপুর ইউপিসহ আশেপাশের বিভিন্ন ইউনিয়ন, গ্রাম ও হাটবাজারের মানুষ এ সড়ক দিয়ে সদরে যাতায়াত করে। এছাড়া সুবর্ণচর থেকে নদীপথে হাতিয়া ও নিঝুমদ্বীপ যাওয়ার জন্যও এই রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেক দিন ধরে সংস্কার না করায় রাস্তাটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যাপারে এলাকার কৃষকরা ও সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) জানান, সুবর্ণচর উপজেলা একটি কৃষি নির্ভর এলাকা। এই এলাকা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান ধরনের কৃষি পণ্য পাঠানো হয়। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় যানবাহনের ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। ফলে আমাদের কৃষি পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে বাড়তি পয়সা গুনতে হচ্ছে।

নোয়াখালী বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান নাজিম জানান, রাস্তায় নানা স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া খানাখন্দের কারণে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। সময় অনেক বেশি লাগে যাতায়াতে। তাছাড়া ঝাঁকির কারণে যাত্রীরাও উঠতে চায় না গাড়িতে।

এলজিইডির সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ তাসাউর জানান, আমি সুবর্ণচরে যোগদানের দুই বছর আগে রাস্তাটির সংস্কার করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অনেক স্থানে কার্পেটিং ওঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আক্তার মিয়ারহাট-সোনাপুর সড়কের ২৯ কিলোমিটারের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার (এলজিইডি এর আওতায়) রাস্তার কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশাবাদী।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড