ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন
ভোলার লালমোহন উপজেলায় ৩ বছর ধরে একই বিদ্যালয়ের ভেতরে চলছে ২টি বিদ্যালয়ের পাঠদান। উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৮৬ নম্বর সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে তিন বছর আগে ভেঙে ফেলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি)।
তবে ৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি। এতে করে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একই ইউনিয়নের চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনটি তিন বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) নিলামে বিক্রি করে। পরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দুই কিলোমিটার দূরে চতলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে আনা হয়। বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিকে ৪৪ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৩৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৫ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ২৬ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ২৫ জন এবং ৫ম শ্রেণিতে ২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে আমরা একটি কক্ষকে দুটি কক্ষ বানিয়ে কোনো রকমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। এ ছাড়াও চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় দিনে দিনে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।
চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে ৭২৬ জন শিক্ষার্থী। প্রতি ক্লাসে পৌনে ২শ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হলে অন্তত ১০টি শ্রেণি কক্ষ দরকার। কিন্তু কমন রুমসহ সেখানে আছে মাত্র ৫টি কক্ষ। এর ওপরে সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্থান দিতে গিয়ে ক্লাস করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান না হলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফোরকান সিকদার বলেন, সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বিধায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে বিদ্যালয়টির তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড