ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদকে গণধোলাই দেন এবং একটি কক্ষে আটকে রাখেন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার ও আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে থানায় এজহার জমা দিয়েছেন। এ দিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিশু শিক্ষার্থী, তার মা, অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রায়ই বিদ্যালয়ের শিশুদের যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছুটির পরে মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদ অফিস কক্ষে ডেকে কোলের ওপর বসিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে ওই শিক্ষার্থী কাঁদতে কাঁদতে এ ঘটনা তার মাকে জানায়।
একপর্যায়ে এলাকাবাসী বুধবার (১০ অক্টোবর) সকালে ঘটনার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক অস্বীকার করেন। পরে শিশু শিক্ষার্থী সকলের সামনে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই দেয় এবং একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জোরপ্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে শিশুর মা ভোলা সদর থানায় এজহার জমা দিয়েছেন।
ভোলা সদর থানার ওসি ছগির মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড