অক্টোবরে হচ্ছে না সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক আবেদন হওয়ায় পরীক্ষা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কারণেই অক্টোবর মাসে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র।

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সচিব আকরাম আল হোসেনের সভাপত্বিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ানো, ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ, ফলাফল প্রকাশ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের আসন বিন্যাসের পদ্ধতি উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা হলেও পরীক্ষা-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি।

পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম মনজুর কাদির জানান, ১২ হাজার শিক্ষক পদের জন্য ২৪ লাখ ১ হাজার ৫৯৭টি আবেদন হওয়ায় আমাদের বড় ধরণের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ানো ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ পূর্বের ক্রটি সংশোধন করে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন ইত্যাদি কারণে অক্টোবরে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাবনা থাকলেও তা পিছিয়ে দিতে হচ্ছে।

উপজেলা সদরের পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে কেন্দ্র নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা প্রতিটি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্র বৃদ্ধি ও পরীক্ষা আয়োজনের জন্য সময় নির্ধারণ করবে ও নিয়োগ পরীক্ষার সময় ঘোষণা করবে। যদি সব জেলায় একই সঙ্গে কেন্দ্র খালি না পাওয়া যায় তবে কয়েকটি জেলা সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর। এ পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকবেন। তাই পরীক্ষার পর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। এত বিশাল নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন ও প্রশ্নফাঁস রোধ করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই পরীক্ষা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হতে পারে।

সারাদেশে বর্তমানে ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদের জন্য গত ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন হয় এবং পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করেই এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।